রংপুর ব্যুরো থেকে
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন জাহান, মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তম প্রসাদ পাঠকের নেতৃত্বে রংপুর নগরীর বিভিন্ন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় ধাপ কেল্লাবন্দস্থ মেডিনোভা ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোমে অভিযান পরিচালনা করে ক্লিনিকের ভুয়া চিকিৎসক সনাতন চন্দ্র (৩৪) ক্লিনিকের সঙ্গে জড়িত তুলেশ চন্দ্র, আমিনুল ইসলাম (২০), আমিনুল (৪০), শাহানুরকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়।
নগরীর চেকপোস্ট এলাকার অনুমোদনহীন ন্যাশনাল কমিউনিটি হাসপাতালকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা প্রদানের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়।
এ ছাড়া অনুমোদনহীন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা প্রদানের দায়ে সমতা ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোমকে ৫০ হাজার টাকা, আরকে রোডস্থ আইডিয়াল জেনারেল হাসপাতাল এন্ড নার্সিং হোমকে ১ লাখ টাকা, রংপুর স্কয়ার হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা, মেঘনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩০ হাজার টাকা, আইডিয়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক অভিযানে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দ্বিতীয় শাখার অনুমোদন ও পরিবেশ সম্মত মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপককে ৩ মাসের বিনাশ্রম দণ্ডাদেশ প্রদান ও সেবার মান সঠিক রাখতে সতর্ক করে দেন।
এ ছাড়াও অনুমোদন ছাড়াই সিভিল সার্জনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা প্রদান করায় চেকআপ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্বাধীন ব্যাংক হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাসহ সিলগালা করে দেয়া হয়।
অন্যদিকে অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গ্রেন্ট এন্ড মাইন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত। অনাদায়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক ও ব্যবস্থাপকদের বিভিন্ন মেয়াদে জেল দেয়া হয়।
মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) উত্তম প্রসাদ বলেন, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল আলীম মাহমুদ ও ডিবির ডিসি আবু মারুফ হোসেনের নির্দেশে অনুমোদনহীন, রোগীদের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবার নামে প্রতারণাকারী ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।